Panchanir বসুন্ধরার এল ব্লকে আমাদের বর্তমানে রানিং একটি প্রজেক্ট । মাত্র তিন কাঠার জমির উপরে করা সাউথ ফেইসিং প্লটটিতে ৫টি রেসিডেন্সিয়াল ফ্লোর আছে। গ্রাউন্ডফ্লোরে পার্কিং আছে ৫টি । তবে যেই জিনিসটি অন্যান্য সব প্রজেক্ট থেকে এটাকে আলাদা করেছে সেটা হচ্ছে একটি মেজানাইন ফ্লোর। সাধারণত ছোট এই ৩ বা ৫ কাঠার প্লটে কখনওই মেজানাইন ফ্লোর করা হয়না। এখানে মেজানাইন করার বেশ কিছু সুবিধা আছে।
মেজানাইন ফ্লোর হওয়ায় এখানে দোতলার কোন ঝামেলা নেই। দোতলার বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে শব্দ এবং ধূলা। যার কারণে অনেকেই দোতলায় থাকতে চান না।
তিন কাঠায় সাধারণত ৬ টি এপার্টমেন্ট করা হয়। গ্রাউন্ড এবং ৬টি ফ্লোর । এখানে একটা ফ্লোর মেজানাইন হওয়ায় আর সেটা সাইজে ছোট হওয়ায়, অতিরিক্ত যেই স্কয়ারফিটগুলো পাওয়া যায়, তা অন্যান্য ৫টি ফ্লোরে ডিস্ট্রিবিইউট হয়ে গেছে। তাই সবাই ১৫০০ স্কয়ারফিটের বেশি পাবে
একটি অ্যাডিশনাল কমিউনিটি রুম হয়ে গেলো দোতলায়। এই স্পেইসে জিম করা যেতে পারে, বা লাউঞ্জ করা যেতে পারে। গেস্টদের এন্টারটেইন করার জন্য খুব ই ভালো জায়গা। এছাড়া ইনফরমাল মিটিং ত আছেই ।
ডাবল হাইট এন্ট্রি তিন কাঠা জমির জন্য খুব ই ইউনিক একটি বিষয়। কোথাও নেই।
এবারে ফ্লোর প্ল্যান নিয়ে কিছু কথা বলি।
Ground Floorটা রাস্তা থেকে সাড়ে তিন ফিট উপরে রাখা হয়েছে। এর মূল কারণ এখনো প্লটের সামনে রাস্তা ঢালাই হয়নি। সেইফটি ফ্যাক্টর হিসেবে কিছুটা বেশি উঁচু করা হয়েছে তাই। গ্রাউন্ড ফ্লোরে ৫টা পার্কিং ছাড়াও গার্ডরুম, মেকানিকাল রুম, একটা টয়লেট এবং গার্ড বেডরুম আছে। আর পাঁচটা ইউনিট থাকার অনেক বড় সুবিধা হচ্ছে একটা খেলার জায়গাও বের হয়েছে। বাচ্চারা অন্তত একটা ছোট খেলার জায়গা পাবে যা মূলত ৬ষ্ট পার্কিং স্পট ।
Mezzanine Floorটা আপাতত একটা সিঙ্গেল ইউনিট এপার্টমেন্ট হিসেবে দেখানো আছে, বাস্তবে এটা লাউঞ্জ হতে পারে বা জিম ও হতে পারে। এমনকি কো-ওয়ার্কিং স্পেইস হলেও খারাপ হবেনা।
Typical Floorপ্ল্যানগুলো পার্সোনালি হালকা সবাই চেঞ্জ করে ফেললেও নিচের প্ল্যানটা মূলত সবার জন্য করে দেয়া । এখানে ৩টি বেডরুম আছে, কমন এবং ফ্যামিলি লিভিং আছে, ডাইনিং এবং ৩টি বাথরুম। বারান্দা দুটো থাকলেও কিচেনের সাথে একটি বারান্দা রাখার প্ল্যান আছে, তবে এটা নিয়ে ফ্লেক্সিবিলিটি আছে। রান্না ঘরের ভিতরে একতা ফ্রিজ রাখার ব্যবস্থা আছে, আর লিফটের পূর্ব দিকে ওয়াশিং মেশিনের পাশে আরেকটি ফ্রিজ রাখার স্পেইস আছে। এছাড়াও সব বাথরুমে গিজার এবং সব রুমে এসি দেয়া হয়েছে। আউটডোর ইউনিটগুলো বসানোর জন্য আগে থেকেই জায়গা করা আছে সানশেডের উপরে । বাথরুমের ডাক্টগুলো প্ল্যানিং করে করা আছে। এছাড়াও ছুটো প্ল্যান্টারবক্স আছে যা খুব ই ভালো লাগবে লম্বা লম্বা লতানো গাছ লাগানোর পরে। ফ্যামিলি লিভিং এর দক্ষিণে একটা বড় ভয়েড আছে যেটা ল্যুভর দিয়ে ঢেকে রাখা হবে।
Roof Topবা ছাদে আসলে তিন কাঠার জমিতে খুব বেশি কিছু করার থাকেনা। তারপরেও একটা কমিউনিটি রুম আছে, একটা ছোট বার্বিকিউ জোন, এক্সট্রা আরো একটি টয়লেট আছে। পারগোলা দিয়ে ঘেরা একটা বসার জায়গাও আছে। এছাড়াও ইলেকট্রিক মিটার রুম আছে ছাদে। এটা অনেক ইম্পর্ট্যান্ট কেননা এখন অনেকেই সত্যি সত্যি সোলার প্যানেলগুলো ব্যবহার করতে চায়। এটার ব্যাটারিগুলো ছাদেই কোথাও রেখে দিলে কাজে অনেক সুবিধা হয়। আরো একটা জিনিস বলাই বাহুল্য, সেটা হচ্ছে কমিউনিটি রুমের ছাদটাও কিন্তু চাইলে একটা স্টিলের স্টেয়ার দিয়ে কাজে লাগানো যায়। মেটাল রেলিং দিয়ে ওপেন টেরেস করা যায়। তবে এগুলো পরের বিষয়। কাজ চলতে থাকুক।
Building Exterior নিয়ে খুব একটা আলোচনা করার কিছু নেই। ছবিতে যা দেখতে পাচ্ছেন, সেরকম ই প্ল্যান। ইউনিক বিষয়টা হচ্ছে ডাবল হাইট। যেটা জমি ৫ জন মিলে কেনার কারণে সম্ভব হয়েছে।
Window, Railing এবং Louvers গুলো আলুমিনিয়াম এর হলেও সেগুলোতে উডেন টেক্সচার থাকবে । যার কারণে দূর থেকে মনে হবে কাঠের । সিকিউরিটি গ্রিল দেয়ার প্ল্যান না থাকলে অপশন হচ্ছে মেটাল স্ট্রিং ব্যবহার করা যা দূর থেকে খুব একটা চোখে পড়বেনা।
Currnet Status: বিল্ডিংটি এখন আন্ডার কন্সট্রাকশন এ আছে। গ্রাউন্ড ফ্লোর পর্যন্ত হয়ে গেছে এই আর্টিকেলটি যখন আমি লিখছি। আর মজার একটি বিষয় হচ্ছে এই প্রজেক্টে আমরা প্রথমবারের মত REBAR COUPLERS ব্যবহার করেছি। রিবার কাপলার নিয়ে জানতে নিচের আর্টিকেলে কিছু ভিডিও আছে, সেগুলো দেখতে পারেন।
a আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য, আমাদের ফেইসবুক আর গুগলে খুব সহজেই Dhaka Designer লিখে সার্চ করে পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনার বাড়ি ডিজাইন করাতে চান তাহলে Contact বাটনে ক্লিক করে আপয়েন্টমেন্ট নিন।
Comments